পেশা বাছাইয়ের নানান দিক - পর্ব ২
হুমায়ুন আহমেদ - নর্থ ডাকোটা থেকে কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করা মানুষটা আজ বাংলার অন্যতম সেরা কথা সাহিত্যিক! সাকিব আল হাসান - বাবা ফুটবলার হওয়া সত্ত্বেও নিজের প্যাশন যে তাকে নিয়ে যাবে ক্রিকেটের দুনিয়ার বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের খাতায়, সেটা কি কখনো ভেবে দেখেছিল সে! গুগলের স্ক্রল হয়তো এমন অসংখ্য মানুষকে তোমার সামনে তুলে ধরবে যারা তাদের ট্র্যাক থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি ট্র্যাকে লাইফটাকে নিয়ে গেছে। বলতে পারো, কী তার সেই অনুপ্রেরণা যা তাকে তার জীবনের মোড় ঘুরাতে এতটা প্রভাবিত করেছে?
"The Future belongs to those who believe in the beauty of their dreams" - Eleanor Roosevelt
মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে। এ্টা মানুষের এক সহজাত প্রবৃত্তি যা সে জন্মলগ্ন থেকেই ধারণ করে। কিন্তু সবাই কি সেটা বাস্তবে রূপায়ন করতে পারে? মানুষ ক্যারিয়ার হিসেবে তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার পথে অতিক্রম করতে হয় অগণিত বাধা যা তার স্বপ্নকে প্রতি মুহূর্তে একধাপ তার থেকে দূরে নিয়ে যায়। অনেকেই হাল ছেড়ে দেয়, অনেকেই হতাশায় চারপাশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, অনেকেই আবার নিজের মেধা এবং তপস্যার দ্বারা ঠিকই তার স্বপ্নের মাইলফলক ছুঁয়ে যায়। আমরা এই স্বপ্নকে বলি 'প্যাশন' এবং মেধা ও তপস্যার নাম দেই 'স্কিল'.
প্যাশন এবং স্কিল দুটো ভিন্ন বিষয় হলেও একজন মানুষ হিসেবে ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চটা অর্জন করতে এই দুটি বিষয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। একজন মানুষের স্কিল থাকলে ক্যারিয়ার ঐ স্কিল নির্ভর হবে ব্যাপারটা এমন নয়, আবার নিজের প্যাশন কেই তার প্রোফেশন হতে হবে ব্যাপারটা এমনও নয়। তাহলে ব্যাপারটা কি?
ক্যারিয়ারে সফল হতে হলে সবার আগে নিজেকে জানতে হবে। শুধু জানা বললে ভুল হবে বরং নিজেকে আবিষ্কার করতে হবে। আমি কেন এই কাজটা প্যাশন হিসেবে করি? আমি কি আসলেই এর মাঝে জীবনের অর্থ খুঁজে পাই? আমার প্যাশন আর প্রোফেশন কি একই অর্থ বহন করে? নাকি আমার স্কিল আমার ক্যারিয়ার কে ডোমিনেট করবে? এমন নানান প্রশ্ন তোমাকে ভাবিয়ে তুলবে, ভেতর থেকে তোমাকে নতুন ভাবে জাগিয়ে তুলবে, নিজেকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করতে সাহায্য করবে। তুমি কী করতে ভালোবাসো, কেন ভালোবাসো এগুলোর একটা লিস্ট বানিয়ে ফেলো। দেখবে তুমি এমন কিছু পয়েন্ট পাবেই যেখানে তোমার প্যাশন এবং স্কিলের মাঝে আছে পারফেক্ট কম্বিনেশন। তখন দেখবে তোমার মনেই অজান্তেই নিজেকে এমন কিছু করতে মানিয়ে নিয়েছ যা তোমার ক্যারিয়ার হিসেবে একদম পারফেক্ট। তাই দেরি না করে আজ থেকেই শুরু করে দাও নিজেকে এক্সপ্লোর করার নতুন এক্সপেরিমেন্ট। কে জানে, হয়তো বা তোমার এই নতুন প্রয়াস আমাদের এনে দিবে নতুন এক সাকিব আল হাসান!
লেখকঃ
ইশতিয়াক আহমেদ ফাহাদ
শিক্ষার্থী (প্রথম বর্ষ)
তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।



Comments
Post a Comment