পেশা বাছাইয়ের নানান দিক - পর্ব ১
"The best way to predict the future, is to create it." - Abraham Lincoln.
আব্রাহাম লিংকনের করা এই উক্তিটি বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যৎ তৈরি করার সিদ্ধান্তটা কি এতই সহজ?
হাই স্কুলের স্টুডেন্ট থেকে শুরু করে পাশ করে যাওয়া গ্রাজুয়েট পর্যন্ত সবাই মোটামুটি ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে। কিন্তু যে বিষয়টা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায় তা হল - ইউনিভার্সিটিতে কোন সাবজেক্টে মেজর করা হবে তা সিলেক্ট করা। একজন শিক্ষার্থী কোন সাবজেক্টে তার ক্যারিয়ার গড়বে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে বেশ কিছু বিষয় যেমন 'পছন্দের ইউনিভার্সিটি', 'ইউনিভার্সিটির ফি', 'রেজাল্ট' ইত্যাদি মাথায় রাখতে হয়। তাই ক্যারিয়ার সিলেকশনের সময় সবচেয়ে বেশি যে সাতটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় তা নিয়ে এবং তার সমাধান নিয়ে আমাদের এ সিরিজ।
প্রথমে যে চ্যালেঞ্জটির সম্মুখীন আমরা সবাই হই তা হল 'প্যারেন্টস উইশ'। অবশ্যই সব বাবা-মা তার সন্তানের জন্য সেরাটা চান। তারা চান আমার ছেলে বুয়েটে পড়বে, অনেক বড় ইঞ্জিনিয়ার হবে কিংবা আমার মেয়েটা মেডিকেলে পড়ে দেশ সেরা ডাক্তার হবে। এ বিষয়টি আমাদের পছন্দের ক্যারিয়ার সিলেকশনের সময় অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই এমন আছে যাদের নিজের ইচ্ছা এবং বাবা মায়ের ইচ্ছা একই হয়, নিঃসন্দেহে তারা অনেক ভাগ্যবান। কিন্তু অনেকেই এমন আছে যাদের নিজেদের স্বপ্ন তাদের বাবা-মার ইচ্ছা সাথে একদমই মিলে না। এ ক্ষেত্রে নিজেদের ইচ্ছা বাবা-মার স্বপ্নের সাথে কন্ট্রাডিক্ট করলেও তা সমাধান করা কিন্তু খুব কঠিন নয়।
এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে হেল্পফুল হয় বাবা-মার সাথে ঠিকভাবে কমিউনিকেট করা। বাবা মার সাথে আলোচনা করে, নম্রতার সাথে তাদেরকে নিজের ইচ্ছার কথা বুঝিয়ে বলা উচিত। সাহস করে একবার বসে বাবা মার সাথে কথা বললে সবচেয়ে খারাপ আউটকাম কি হতে পারে? তারা রাগ করবে এবং খানিকটা বকাঝকা করবে? নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য একটু বকা না হয় খেলেই, কিন্তু মনে রাখবে দিনশেষে তারা চান তোমাকে খুশি দেখতে। তাই একবার ঠিক ভাবে বুঝিয়ে যদি তাদেরকে কনভিন্স করে ফেলতে পারো তাহলে স্বপ্ন পূরণের পথে একধাপ তুমি এগিয়েই গেলে।
"3 idiots" মুভি টা দেখে এই সাহস করার ফলশ্রুতিটা তো আমরা সবাই দেখেছি। বাবা-মার পরামর্শ কিন্তু কখনোই ফেলনা নয় কারণ তোমার চেয়ে বেশি এক্সপিরিয়েন্স কিন্তু তাদের আছে। কিন্তু তোমার যদি নিজের ওপর বিশ্বাস থাকে, নিজের নেয়া ডিসিশন এর উপর যদি স্ট্রংলি হোল্ড অন করতে পারো তবে তাদের সাথে কথা বলো, তারা যখন তোমার কথা শুনবেন তখন তাদের কথাও শুনো এবং এর বাইরে কী কী সমাধান আসতে পারে তা চিন্তা করে দেখো। কে জানে হয়তো এ খোলাখুলি আলোচনার মাধ্যমে নতুনভাবে আবিষ্কার করতে পারবে নিজেকে?
লেখকঃ
রূপালি তাসনিম সামাদ
শিক্ষার্থী (প্রথম বর্ষ)
তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।


Comments
Post a Comment