পেশা বাছাইয়ের নানান দিক - পর্ব ৪

 

পাবলিক হোক আর প্রাইভেট, সব প্রতিষ্ঠানেই পড়ালেখা করা আর সাদা হাতি পোষা একই কথা। কিছু কোর্স, যেমন মেডিসিন বিষয়ক পড়াশুনার খরচ অর্ধ মিলিয়ন বা আরও বেশি হতে পারে। অন্য কোর্সের কথা তো বলাই বাহুল্য।

আজকের দিনে এটা প্রায় প্রবাদের মতো হয়ে গিয়েছে যে, "তোমার স্বপ্ন যত বড়, তোমার খরচও তত বেশি।" তবে তারপরও, ভালো কিছুর জন্য কিছু অর্থ বিনিয়োগ আমাদেরই কাজে লাগে পরবর্তীতে। জবাবে শিক্ষার্থীরা সম্ভবত বলবে,"কিন্তু তবুও এত মোটা অঙ্কের টিউশন ফি পরিশোধ করা আমার পক্ষে সম্ভব না।"

ঠিক একারনেই সঞ্চয়ের অভ্যাস খুবই কাজে লাগে, যে অভ্যাস গড়ার জন্য ছোটকাল থেকেই আমাদের বাবা মা আর শিক্ষকরা তাগাদা দিয়ে যাচ্ছেন। আর এটা খুবই ভালো একটি পরামর্শ, আজকাল কর্মজীবী বাবা-মায়ের জন্য। বাবা-মায়ের উচিত তাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ পড়ালেখার খরচ মেটানোর মতো যথেষ্ট অর্থ যেন সঞ্চিত থাকে টা নিশ্চিত করা। যত তাড়াতাড়ি সঞ্চয় শুরু করা যায়, তত বেশি অর্থ ভবিষ্যতে জমা হবে। 

শিক্ষার্থীরা কিন্তু সহজেই খণ্ডকালীন চাকরি, ছোটখাট ব্যবসা বা অন্য শিক্ষার্থীদের পড়ানো, চলিত প্রয়োগে টিউশনি করে অর্থ আয় এবং সঞ্চয় করতে পারে। আরও রয়েছে শিক্ষার্থীদের সবসময়ের পছন্দ, শিক্ষাবৃত্তি! মেধাবৃত্তি এবং উপবৃত্তি ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়মিত যোগ্য শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে থাকে। তোমার শুধু খোঁজখবর রাখতে হবে। যত বৃত্তিগুলোর জন্য আবেদন করবে তত তোমার বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে আর তোমার স্বপ্ন পূরণের পথে আরও এক পা এগিয়ে যাবে।

যদি তোমার মনে হয়, স্বপ্ন পূরণের জন্য এটুকু করতে তুমি রাজি, তাহলে চেষ্টা করেই দেখো! 

লেখকঃ

শরীফ মোঃ আব্দুল্লাহ

শিক্ষার্থী (প্রথম বর্ষ),

তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট,

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

 

Comments