সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং - নির্মাণ প্রকৌশলীদের কাজের খুঁটিনাটি

                                         

 

সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল করিম, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন Action for Sustainable Green Development - ASGD নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। ক্যারিয়ারোলোজি টিমকে তিনি দিয়েছেন তার পেশা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর। 


- এই পেশায় কী ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হয়?

 

মূলত প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, ডেটা অ্যানালাইসিস, ডিজাইন, ফিল্ড ভিজিট, কমিউনিকেশন, রিপোর্ট তৈরি করা, ট্রেইনিং প্রোভাইড করা এইসব দায়িত্ব থাকে এই পেশায়। 


- এই পেশায় কাজ করে দেশের কোন কোন সেক্টরে ভূমিকা রাখা সম্ভব?

 

ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন, ওয়াটার রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এই সেক্টরগুলোয় ভূমিকা রাখা সম্ভব।


- চাকরি পাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়?

 

সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিলেটেড কোর্সগুলো সম্পর্কে বেসিক ধারণা রাখাটা খুব জরুরি। ল্যাব আর থিসিসগুলো মন দিয়ে করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ফিল্ড নলেজ রাখতে হবে। রিসার্চ ব্যাকগ্রাউন্ড থাকাটাও জরুরি, পেপার পাবলিকেশানের দিকে নজর দিতে হবে। 


- দেশে এবং দেশের বাইরে এই পেশার চাহিদা কেমন? দেশের বাইরে কাজ করার সুযোগ কেমন?

 

দেশ এবং দেশের বাইরে সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর, বিশেষ করে ওয়াটার রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট এবং ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন এর চাহিদা অনেক বেশি। দেশের বাইরে কাজ করতে চাইলে WHO, UNICEF এর বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। 


- ফ্রেশার হিসেবে স্টার্টিং স্যালারি আর স্যালারি রেঞ্জ কেমন হয়? প্রতিদিন কত ঘন্টা সময় দিতে হয়? 

 

স্টার্টিং স্যালারি ২২০০০-২৫০০০ এই রেঞ্জে হয়। আর প্রতিদিন ৮ ঘন্টা করে সময় দিতে হয়। ওয়ার্কিং আওয়ার ৯টা-৫টা। 


- ক্যারিয়ার গঠনের জন্য কী ধরনের প্রোফেশনাল এক্সপেরিয়েন্স প্রয়োজন? পদোন্নতির সু্যোগ কেমন?

 

ফ্রেশারদের জন্যে মূলত সবথেকে বেশি দরকার সমৃদ্ধ রিসার্চ ব্যাকগ্রাউন্ড এবং ক্রিটিক্যাল থিংকিং এবিলিটি। প্রমোশন দেয়া হয় পারফরমেন্সের উপর ভিত্তি করে। পারফরমেন্স যত ভাল হবে পদোন্নতির সুযোগ ততই বাড়বে। 


- কিভাবে মানসিক চাপ সামলানো এবং কাজকে উপভোগ করা যায়? ওয়ার্ক লাইফ আর পার্সোনাল লাইফ ব্যালেন্স করার সুযোগ কেমন?

 

আমাকে কাজের জন্যেই বিভিন্ন জেলায় ফিল্ড ভিজিটে যেতে হয়, তখন আসলে কাজের পাশাপাশি ট্র্যাভেলিংটাও উপভোগ করি। কলিগদের সাথে সোশ্যালাইজ করার মাধ্যমে কাজের ফাঁকের সময়গুলো ভালো কাটে। আর ওয়ার্ক লাইফ - পার্সোনাল লাইফ ব্যালেন্স এ আসলে সমস্যা হয়না। কাজটুকু অফিসের মাঝেই শেষ করে নেওয়া উচিত। যাতে বাসায় এসে আবার একই কাজ নিয়ে বসার প্রয়োজন না হয়। প্রতিদিনকার কাজ অফিস আওয়ারে শেষ করে নিলেই নিজের জন্যে সময় বের করা যায়, আর পার্সোনাল লাইফে ওয়ার্ক লাইফের প্রভাব পড়ে না। 




Comments