পেশা বাছাইয়ের নানান দিক - পর্ব ৬


সাতদিনে সাতটি “ক্যারিয়ার সিলেকশন” চ্যালেঞ্জের এই পর্বে আমরা এসেছি বহুল আলোচিত একটি ইস্যু নিয়ে, যার নাম “Competition ”।

প্রতিযোগিতা হয়েছিল বলেই কিন্তু সেই কচ্ছপ প্রমাণ করে দিতে পেরেছিল যে, “Slow and steady wins the race!”
 
তুমি ছোটোবেলায় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছ নিজেকে সেরা প্রমাণ করার জন্য, তেমনি ক্যারিয়ারের নানা পর্যায়েও নিজেকে প্রমাণ করতে হয় প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই। একজন ভালো শিক্ষার্থী তোমার ক্লাসমেট হলে, তার কাছ থেকে তুমি অনেক কিছু শিখতে পারো, এমনকি তাকে ছাড়িয়েও যেতে পারো নিজের যোগ্যতায়, যদি তার সাথে তুমি কোনো সত্যিকার কম্পিটিশনে অংশ নাও। বর্তমান যুগটাও তেমনি চ্যালেঞ্জিং, এখানে তোমাকে প্রতিনিয়ত ফাইট করে যেতে হবে, নিজের সেরাটা দিতে হবে।
 
শিক্ষা থেকে শুরু করে ব্যাবসা, ক্রীড়াজগত কোথায় নেই এই কম্পিটিশন! তোমাদের প্রিয় স্পোর্টস অাইকনরা প্রতিপক্ষের গুণাবলি থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের সেরা হিসেবে গড়ে তুলছে। মার্কেটে টিকে থাকতে হলে, অন্য কোম্পানির সাথে প্রতিযোগিতায় থাকতে হয়, ধীরে ধীরে নিজেদের প্রোডাক্টে অাসে উন্নতি, এগিয়ে চলে ব্যাবসা। গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুকের মতো জায়ান্ট অাইটি কোম্পানিগুলো নিজেদের শীর্ষস্থান এবং শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখছে এভাবেই।
 
তবে শুধু অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য নয়, কখনো অামাদেরকে নিজের সাথেই লড়াই করে যেতে হয়। কারণ অামি নিজেই যদি কোনো একটা কোয়ালিটি ঠিকঠাক অর্জন করে উঠতে না পারি তাহলে অন্যকে পিছনে ফেলে অামার তো কোনো লাভ হচ্ছেনা? তাই কখনো কখনো তোমার former self থেকেও নিজেকে better করে তুলতে হয়। 
 
“I am not in competition with anyone but myself. My goal is to improve myself continuously.” - Bill Gates 
 
তবে খেয়াল রেখো, কোনো কন্টেস্ট যেনো তোমার মনে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে। চাপের বশবর্তী হয়ে কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে সেখানে তোমার ভালো পারফর্ম করার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। কেবলমাত্র তোমার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই তোমার সেরাটা বের করে অানতে পারে। তাই তোমরা পরীক্ষা বা প্রতিযোগিতামূলক কোনো ইভেন্টে ভয় না পেয়ে এগিয়ে যাও সাহসের সাথে, সাফল্য তোমায় হাতছানি দিয়ে ডাকছে!
 
লেখকঃ
সৌরভ ভৌমিক জয় 
প্রথম বর্ষ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং 
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

Comments